এইএলাকায় বাচ্চা বাবু নামে এক জমিদার ছিলেন । ইঙরেজ শাষন আমলে বাচ্চা বাবু জমিদার , তার পূর্বপুরুষ এবংবালিয়া বড় বাড়ির মান্য গন্য লোক জন মিলে রাজ পূর্ণিমা তিথিতে প্রথম মেলা যখন স্থাপন করেন তখন ,মেলার স্থান ছিল ইলুয়া –কাশিতে ভরপুর ।কথিত আছে ইলুয়া -কাশি কেটে মেলা বসানো হয় বলে মেলার নাম আলোয়াখোয়া ।অথাৎইলুয়া থেকে আলোয়া , ইলুয়ার মোড়া থেকে খোয়া মিলে মেলার নাম হয় আলোয়াখোয়া মেলা । প্রতি বছর এভাবে ইলুয়া কেটে মেলা বসানো হয়, তারপর যখন জোতদারী –জমিদার ইঙরেজ শাষক উপমহাদেশ থেকে বিদায় নেওয়ার পর পরবর্তীতে আলোয়াখোয়া মেলার নামেই আলোয়াখোয়া ইউনিয়নের নাম রাখা হয় ।
আলোয়াখোয়া মেলার জন্ম এবং মৃত্যু তথ্য :
ভারতীয় সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর আলোয়াখোয়া ইউনিয়নে মেলা বন্ধ হয়ে যায় এবং তৎকালীন ঠাকুরগাঁও মহকুমার রুহিয়া নামক স্থানে আলোয়াখোয়ার মেলার নিয়মে রাজপূর্ণিমা তিথিতে রুহিয়া আজাদ মেলা নামে মেলার আয়োজন করা হয় ।বাংলা ১৩৭৪ সাল থেকে ১৪০১ সাল পর্যন্ত রুহিয়া আজাদ মেলা এ অঞ্চলের একমাত্র মেলা হিসেবে পরিচিত ছিল । বাংলা ১৪০২ সালে আটোয়ারী মির্জা গোলাম হাফিজ ডিগ্রী কলেজের ম্যানিজিং কমিটি রুহিয়া আজাদ মেলার কমিটির কাছে মেলার আয়ের অংশ দাবী করলে উক্ত কিমটি তা অগ্রাহ্য করে । তখন তৎকালীন আইনমন্ত্রী মির্জা গোলাম হাফিজ সাহেবের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আলোয়াখোয়া নামে প্রতিবছর ডিগ্রী কলেজ প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে । পুরাতন আলোয়াখোয়া মেলার রাস ঠাকুরের নামে প্রায় কয়েক একর জমি রয়েছে বলে অনুসন্ধান পাওয়া যায় । ঐ এলাকার কয়েক জন কৃষক রাস ঠাকুরের সম্পত্তি অবৈধভাবে ভোগদখল করছে এবং কিছু সম্পত্তি অবৈধ ভাবে কোম্পানীর কাছে বিক্রি করেছে । ঠাকুরের সম্পত্তি উদ্ধার ও রক্ষার স্বার্থে বাংলা ১৪১৪সালে রাস পূর্ণিমা তিথিতে পুনরায় স্বল্প পরিসরে রাসঘুরা ও একবেলা মেলা স্থাপন শুরু করা হয় । যখন এই ঐতিহাসিক আলোয়াখোয়া মেলা আবার ধীরে ধীরে পূনর্জন্ম লাভ করেছে ।
সুজন চন্দ্র বর্মন (আপন )
পরিচালক
আলোয়াখোয়া ইউনিয়ন পরিষদ তথ্য সেবা কেন্দ্র
আলোয়াখোয়া জমিদার তারিনী প্রসাদ রায়ের উদ্যোগে উনবিংশ শতকের ষাটের দশকে কার্তিকের রাধাকৃষ্ণের মিলন উপলক্ষে সৃষ্টি হওয়া আলোয়াখোয়া রাশ মেলা সময়ের ধারাবাহিকতায় জমিদার শ্যামা প্রসাদ রায়ের সময় কালে বিশাল বিস্তৃতি লাভ করে ঐতিহাসিক মেলা হিসাবে উপমহাদেশে খ্যাতি অর্জন করে । বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পর ভারতীয় সীমান্তবর্তী এলাকায় মেলার স্থান হওয়ায় আইন শৃংখলা বিঘ্নিত হওয়ার আশংকায় সরকারী নির্দেশনায় মেলা বন্ধ হয়ে যায় । শত বছরের ঐতিহ্যবাহী আলোয়াখোয়া রাস মেলা বার বার হোঁচট খেয়ে অতি সাম্প্রতিক কালে ২৮ শে নভেম্বর ১৯৯৩ সালে পুনরায় আটোয়ারী উপজেলার নিরাশী নামক স্থানে শুরু হয় । এ মেলার ইতিহাসের উপর আলোকপাত করতে হলে এর সুদূর অতীতের দিকে দৃষ্টি নিবন্ধ করতে হবে ।
উত্তরাধিকার সূত্রে ১৫৩ নং লাট ঝারগাঁওয়ের জমিদার শ্রী তারিণী প্রসাদ রায় চৌধুরী , জমিদার এলাকায় জমিদার বাড়ীর দক্ষিনে নাগর নদের তীরবর্তী এলাকায় সম্ভবত: ঊনবিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে একটি রাশ পূর্ণিমা মন্দির স্থাপন করেন । রাশ পূর্ণিমা পুজাকে কেন্দ্র করে প্রতি বছর পুজার সময় যে লোকের সমাগম হতো কালক্রমে তা আলোয়াখোয়া মেলায় রুপান্তরিত হয় ।
খুব সম্ভব বিংশ শতাব্দীর মধ্য ভাগে জমিদার তারিণী প্রসাদ রায়ের পুত্র শ্রী শ্যামা প্রসাদ রায় চৌধুরী যিনি বাচ্চা বাবু নামেই সমধিক পরিচিত ছিলেন ,তাঁরই ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আলোয়াখোয়া মেলাটি আন্তর্জাতিক রুপ পরিগ্রহ করে এবং মেলার খ্যাতি দূর দূরান্ত পর্যন্ত পরিব্যাপ্তি লাভ করে ।জনশ্রুতি আছে যে , এই মেলায় ভারত বর্ষের বিভিন্ন এলাকা যেমন, ভূটান, নেপাল, কাশ্মির , এমনকি সূদূর ইরান থেকেও লোকেরা বিভিন্ন প্রকার দ্রব্য সামগ্রী ,হাতি, ঘোড়া, উট , দুম্বা , গরু , মহিষ ,ইত্যাদি কেনা-বেচার জন্য নিয়ে আসত ।
১৯৪৭ সালে ভারত বর্ষ ভেঙ্গে পাকিস্তান ও ভারত দুটি স্বাধীন রাষ্ট্র্র গঠিত হলে নাগর নদটি দুই দেশের আন্তর্জাতিক সীমারেখায় পরিণত হয় ,ফলে আলোয়াখোয়া মেলাটি নাগর নদের পূর্ব প্রান্তে পাকিস্তানের অন্তর্গত পূর্ব পাকিস্তানের মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ে।কিছু দিন
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস